চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খানের আত্মহত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার গড়াঞ্চলে হতাশাগ্রস্ত আদিবাসী এক বীর মুক্তিযোদ্ধা
আত্মহত্যা করেছেন। উপজেলার ধরাটী কোণাবাড়ী গ্রামের মৃত তনিন্দ্র সাংমার ছেলে মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র সাংমা (৮৯) এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটান। তার গেজেট পরিচিতি নং-৫৯৫৪। রোববার সকাল ৮টার দিকে পুলিশ বসতবাড়ির রান্না ঘরের
পেছনের লিচু গাছ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।
ধীরেন্দ্র সাংমার ছোট ছেলে নবীন নকরেক
জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তার বাবা অন্যরকম আচরণ করছিলেন। রাতে জমিজমা দেখতে
বের হতেন। ঘটনার দিন শনিবার রাত ১২টার পরও বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করে
রাত ৩টার দিকে রান্না ঘরের পেছনের গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।মধুপুর
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান ডেপুটি কমান্ডার মো. আবদুর রশিদ জানান,
ধীরেন্দ্র ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি
গড়াঞ্চলে তার বসতভিটার আশপাশের এক সময়ের ভোগদখলকৃত জমি বেদখলমুক্ত করতে
বহুদিন ধরে বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ধরনা দিচ্ছিলেন। ভূমি অফিস, সহকারী
কমিশনারের অফিস ঘুরে ঘুরে ব্যর্থ হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি।
আবদুর রশিদ আরও জানান, ওই সংক্রান্ত কাজে গিয়ে মাস ছয়েক আগে উপজেলা সহকারী
কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের সামনে পড়ে গিয়ে আহত হন তিনি। রশিদ তার হতাশার
কথা বললেও এ আত্মহত্যাকে রহস্যজনক মনে করছেন।একটি
সূত্র জানায়, তার এক ছেলে জগ¦দীশ ২০০৭ সালে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হয়েছেন।
পলাশ নামে অপর ছেলে অন্য এক খুনের আসামি হয়ে জেল খাটছেন।মধুপুর
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম ধীরেন্দে র নানা হতাশার
কথা শুনেছেন স্বীকার করে জানান, পুলিশ সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তার
লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে একে আত্মহত্যা মনে
করেন তিনি।পোস্ট মর্টেমের পর রোববার
রাত সাড়ে ৭টায় মধুপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে গার্ড অব অনার দিয়ে
ধীরেন্দ্রের লাশ সৎকারের জন্য গ্রামের বাড়ি ধরাটিতে পাঠানো হয়েছে।
আত্মহত্যা করেছেন। উপজেলার ধরাটী কোণাবাড়ী গ্রামের মৃত তনিন্দ্র সাংমার ছেলে মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র সাংমা (৮৯) এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটান। তার গেজেট পরিচিতি নং-৫৯৫৪। রোববার সকাল ৮টার দিকে পুলিশ বসতবাড়ির রান্না ঘরের
পেছনের লিচু গাছ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।
ধীরেন্দ্র সাংমার ছোট ছেলে নবীন নকরেক
জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তার বাবা অন্যরকম আচরণ করছিলেন। রাতে জমিজমা দেখতে
বের হতেন। ঘটনার দিন শনিবার রাত ১২টার পরও বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করে
রাত ৩টার দিকে রান্না ঘরের পেছনের গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।মধুপুর
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান ডেপুটি কমান্ডার মো. আবদুর রশিদ জানান,
ধীরেন্দ্র ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি
গড়াঞ্চলে তার বসতভিটার আশপাশের এক সময়ের ভোগদখলকৃত জমি বেদখলমুক্ত করতে
বহুদিন ধরে বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ধরনা দিচ্ছিলেন। ভূমি অফিস, সহকারী
কমিশনারের অফিস ঘুরে ঘুরে ব্যর্থ হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি।
আবদুর রশিদ আরও জানান, ওই সংক্রান্ত কাজে গিয়ে মাস ছয়েক আগে উপজেলা সহকারী
কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের সামনে পড়ে গিয়ে আহত হন তিনি। রশিদ তার হতাশার
কথা বললেও এ আত্মহত্যাকে রহস্যজনক মনে করছেন।একটি
সূত্র জানায়, তার এক ছেলে জগ¦দীশ ২০০৭ সালে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হয়েছেন।
পলাশ নামে অপর ছেলে অন্য এক খুনের আসামি হয়ে জেল খাটছেন।মধুপুর
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম ধীরেন্দে র নানা হতাশার
কথা শুনেছেন স্বীকার করে জানান, পুলিশ সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তার
লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে একে আত্মহত্যা মনে
করেন তিনি।পোস্ট মর্টেমের পর রোববার
রাত সাড়ে ৭টায় মধুপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে গার্ড অব অনার দিয়ে
ধীরেন্দ্রের লাশ সৎকারের জন্য গ্রামের বাড়ি ধরাটিতে পাঠানো হয়েছে।
0 Comment "এবার মধুপুরে আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধার আত্মহত্যা"
Post a Comment