আদিবাসী নারী শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আদিবাসী নারী শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মাধবপুর উপজেলায় বিভিন্ন খেত খামারে প্রতিদিন শতশত আদিবাসি নারী শ্রমিক কাজ করে। উপজেলার জগদীশপুর, শাহজাহানপুর, নোয়াপাড়া ইউনিয়নে বিভিন্ন সবজি ক্ষেতে এসব নারী শ্রমিকরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কঠোর শ্রম দিয়ে থাকে। তারা পুরুষ শ্রমিকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে সবজি ক্ষেতে কাজ করে। কাজের গুণগত মানও ভাল। কিন্তু তারা নারী বলে পুরুষের চেয়ে কমপক্ষে ৫০ টাকা কম মজুরী পেয়ে থাকে। এ ব্যাপারে ক্ষেতের মালিকের সঙ্গে তাদের দর কষাকষি করলে কাজ থেকে তাদের বাদ দেওয়া হবে হুমকীতে তারা স্বল্প মজুরীতেই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে।
এ উপজেলার বিভিন্ন সমতল ও উচু ভূমিতে চলতি বর্ষা মৌসুমে লাউ, পুঁইশাক, মূলা, শসা, বেগুন, ঝিঙ্গা, লাল শাক, টমেটো সহ বিভিন্ন সবজির বাণিজ্যিক ভিত্তিতে স্থানীয় কৃষকরা চাষাবাদ করে থাকেন। এ কারণে এ মৌসুমে তাদের প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। আদিবাসী ও সাধারণ নারী শ্রমিকরা জীবন জীবিকার জন্য এসব সবজি ক্ষেতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে শ্রম দিয়ে থাকে।

কিন্তু এসব আদিবাসী নারী শ্রমিকরা শ্রম অনুযায়ী তারা ন্যায্য মজুরী পাচ্ছে না। এ স্বল্প মজুরী দিয়ে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কিন্তু অন্য কোনো কাজ না থাকায় এ স্বল্প মজুরীতেই তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
জগদীশপুর চা বাগানের লেবামারা চা বাগানের আদিবাসী নারী শ্রমিক কমলা সাঁওতাল বলেন, বাগানে তাদের কোনো কাজ নেই তাই বিভিন্ন সবজি ক্ষেতে তাদের কাজ করতে হয়।
তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক কাজী ইমদাদুল হক বলেন, পাঠশালা শেষ করে হাই স্কুলে ভর্তির সময় অভাবের কারণে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। তাই সে অন্য নারী শ্রমিকদের সঙ্গে বিভিন্ন সবজি ক্ষেতে কাজ করছে। এসব নারী শ্রমিকদের মজুরী হিসেবে ১শ থেকে দেড়শ টাকা দেওয়া হয়।

কিন্তু পুরুষ শ্রমিকদের ২শ থেকে আড়াইশ টাকা হারে দৈনিক মজুরী দেওয়া হয়। রমজান আলী নামে একজন খামার মালিক নারী পুরুষের মজুরী বৈষম্য বলেন পুরুষ শ্রমিকের সঙ্গে নারী শ্রমিকদের কাজের মান মোটামুটি ভাল কিন্তু কম মজুরীতে নারী শ্রমিক পাওয়া যায়। তাই তাদের মজুরী কম দেওয়া হয়।

0 Comment "আদিবাসী নারী শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত"

Post a Comment