শ্যামনগরের এক আদিবাসী নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

ছাগলে ফসল খাওয়ার মত তুচ্ছ একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের এক নারীর উপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। আহত নারী হলো মুন্সিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের পরিচ্ছন্নতাকর্মী সুরঞ্জন মুন্ডার স্ত্রী মিনা রানী মুন্ডা (৩৫)। মারাত্বক আহত মিনা রানী বর্তমানে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। গত শুক্রবার বেলা এগারটার দিকে শ্যামনগর উপজেলার জেলেখালী পল্লীতে ঐ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে বেশকিছু দিন ধরে প্রভাবশারী প্রতিবেশীদের সাথে সুরঞ্জন মুন্ডার পরিবারের মধ্যে বিবাদ চলছিল। মুন্ডাসহ অপরাপর আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোকে বিভিন্ন অংশে পুনর্বাসনের জন্য ফাদার লুইজি চেষ্টা চালাচ্ছিলেন অনেক দিন ধরে। তারই অংশ হিসেবে ফাদার লুইজির প্রচেষ্টায় মুন্সিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের পশ্চিম-উত্তর পাশে ২০১০ সাল হতে আরও ১৩ টি মুন্ডা পরিবারের সাথে কয়েক শতক জমি নিয়ে সুরঞ্জন মুন্ডও পরিবার নিয়ে বসসবাস করে আসছে। সেখানেই সে ঘরবাড়ি তৈরী করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতো। স্থানীয় সুত্রসহ ঘটনার শিকার পরিবারটি দাবি করেছে সুরঞ্জনের পরিবার পুরো গ্রামটিকে খৃষ্টান পাড়া বানিয়ে ফেলবে এমন নানান প্রচারনা চালিয়ে দর্ঘিদিন ধরে ঐ পরিবারটিকে বিতাড়িত করতে এলাকার কিছু চিহ্নিত ব্যক্তি চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে গতকাল সুরঞ্জনের একটি ছাগল প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম কাগুচীর ক্ষেতে প্রবেশ করলে নুরুল কাগুচী ছঠাগলটিকে আটকে রাখে। এসময় মিনা রানী ছাগলটি চাইতে গেলে নুর ইসলামকাগুচী তাকে মারপিট শুরু করে। এসময় তার মেয়ে তানজিলা ও ছেলে আলমগীর কাগুচীও পিতার সাহায্যে এগিয়ে এসে প্রায় মারতে মারতে মিনাকে প্রায় বিবস্ত্র করে ফেলে। এদিকে স্থানীয়রা এগেিয় এসে তাকে দ্রæত উদ্ধার করে শ্যামনগর থানা পুলিশকে অবহিত করে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রোগীর অবস্থা সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না বলেই চিকিৎসকরা জানিয়েছে।

0 Comment "শ্যামনগরের এক আদিবাসী নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন"

Post a Comment