টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় আদিবাসী এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায়
শনিবার মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়।
আদিবাসী নেতাদের অভিযোগ, অপহরণকারীরা এখন আদিবাসী নেতাদের মেয়েদেরও অপহরণের হুমকি দিচ্ছে।
মেয়েটির
বাবা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটি তার নানির বাড়িতে থেকে স্থানীয়
একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। মেয়েটির সহপাঠীর মামা দুই সন্তানের বাবা
লাবলু মিয়া (৩০) উপজেলার মৌশা বাজারে পুরাতন মুঠোফোন মেরামতের কাজ করেন।
লাবলু
প্রায়ই ওই মেয়েকে বিয়ে করাসহ নানা কুপ্রস্তাব দেন। মেয়েটি রমজানের
ছুটিতে বাড়ি গিয়ে দাদিকে বিষয়টি খুলে বলে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে
লাবলু তাঁর চাচাতো ভাই রিপন মিয়াকে (২৫) সঙ্গে নিয়ে ওই মেয়ের বাড়িতে
যান। এ সময় ওই মেয়ে তার দাদির সঙ্গে আলাদা একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। তাঁদের
দেখে তারা ঘুম থেকে ওঠে।
মেয়েটির
দাদি জানান, ওই দিন রাতে কথা বলার একপর্যায়ে লাবলু ও রিপন তাঁর নাতনির
মুখ চেপে ধরে জোর করে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তাকে (ওই মেয়ে) তুলে নিয়ে
দ্রুত চলে যান। ওই সময় তিনি (দাদি) চিৎকার করেন। কিন্তু বাড়ির লোকজন ও
প্রতিবেশীরা ঘুম থেকে জেগে ওঠার আগেই অপহরণকারীরা চলে যান।
সখীপুর
উপজেলা আদিবাসী কল্যাণ সমিতির সভাপতি অজিত বর্মণ অভিযোগ করে বলেন, অপহরণ
মামলার ২ নম্বর আসামি রিপন মেয়েটির নানার মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে বলছেন,
‘আদিবাসী এক মেয়েকে নিয়ে এসেছি। এখন আদিবাসী নেতাদের মেয়েদের অপহরণ
করব।’
সখীপুর ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, অপহরণের মামলাটি নেওয়া হয়েছে। এখন আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
0 Comment "আদিবাসী স্কুলছাত্রী অপহরন"
Post a Comment