মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ঝিমাই পানপুঞ্জির আদিবাসী ও ঝিমাই চা-বাগান
কর্তৃপক্ষের বিরোধ নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। এ বিষয়ে গত বুধবার
জেলা প্রশাসন ও পুঞ্জির আদিবাসীদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তবে জমির পরিমাণ
নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় ওই বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে।
গত বুধবার সিলেট বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তারা পানপুঞ্জি পরিদর্শন করেন। এ সময় মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, কুলাউড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলমগীর হোসেন এবং আদিবাসী নেতাদের মধ্যে পানপুঞ্জি সংগঠন কুবরাজ আন্তপুঞ্জি সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও আদিবাসী নেত্রী ফ্লোরা বাবলী তালাং, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম সিলেট বিভাগীয় শাখার সভাপতি গৌরাঙ্গ পাত্র, খাসি সোশ্যাল কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফিলা পতমি, ঝিমাই পানপুঞ্জির মন্ত্রী (পুঞ্জিপ্রধান) রানা সুরং এবং ঝিমাই চা-বাগানের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রশাসনের কর্মকর্তারা পানপুঞ্জির আদিবাসীদের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন। বৈঠকে উভয় পক্ষ তাদের মতামত তুলে ধরে। বৈঠকে সমঝোতা না হওয়ায় বিভাগীয় কমিশনার পুঞ্জিবাসীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ১০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও কয়েকজন আদিবাসী জানান, আদিবাসী খাসিয়াদের গ্রাম ঝিমাই পানপুঞ্জি। পানপুঞ্জি ও ঝিমাই চা-বাগানের মধ্যে অনেক দিন ধরে ভূমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছে। ঝিমাই চা-বাগান কর্তৃপক্ষ চা-বাগান সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিলে আদিবাসী খাসিয়াদের মধ্যে উচ্ছেদ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় প্রশাসন বিরোধ নিরসনে একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু আদিবাসীরা তাঁদের জীবন-জীবিকা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব সংগতিপূর্ণ নয় বলে তা মেনে নিতে পারছেন না। পুঞ্জিতে ৭২টি আদিবাসী পরিবারের প্রায় ৫০০ লোক রয়েছে।
কুবরাজ আন্তপুঞ্জি সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলী তালাং বলেন, পুঞ্জিবাসীর সঙ্গে বৈঠকে বিভাগীয় কমিশনার পুঞ্জির প্রতি পরিবারকে দুই একর করে নিষ্কণ্টক ভূমি দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। কিন্তু দুই একর পাহাড়ি জমিতে পান চাষ করে জীবন-জীবিকা চালানো সম্ভব নয় বলে পুঞ্জিবাসীর পক্ষ থেকে পাঁচ একর করে ভূমি দাবি করা হয়েছে। বিষয়টির সমঝোতা না হওয়ায় পরে পুঞ্জিবাসী কিছুদিন সময় চেয়েছেন।
মৌলভীবাজারের ডিসি কামরুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি চিরতরে সমাধানের জন্যই বিভাগীয় কমিশনার সাহেব এসেছিলেন। আমরা ওদের (পুঞ্জিবাসীর) সঙ্গে সমঝোতার জন্য বসেছিলাম। দুই একর করে কাউকে দেওয়ার সরকারি আইন নেই। তাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতির দিকটি বিবেচনা করে মানবিক কারণে আমরা বলেছি দুই একর করে দেওয়ার বিষয়টি সরকারের কাছে প্রস্তাব করব। এখন তাদের সময় দিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে বলা হয়েছে।’
গত বুধবার সিলেট বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তারা পানপুঞ্জি পরিদর্শন করেন। এ সময় মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, কুলাউড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলমগীর হোসেন এবং আদিবাসী নেতাদের মধ্যে পানপুঞ্জি সংগঠন কুবরাজ আন্তপুঞ্জি সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও আদিবাসী নেত্রী ফ্লোরা বাবলী তালাং, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম সিলেট বিভাগীয় শাখার সভাপতি গৌরাঙ্গ পাত্র, খাসি সোশ্যাল কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফিলা পতমি, ঝিমাই পানপুঞ্জির মন্ত্রী (পুঞ্জিপ্রধান) রানা সুরং এবং ঝিমাই চা-বাগানের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রশাসনের কর্মকর্তারা পানপুঞ্জির আদিবাসীদের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন। বৈঠকে উভয় পক্ষ তাদের মতামত তুলে ধরে। বৈঠকে সমঝোতা না হওয়ায় বিভাগীয় কমিশনার পুঞ্জিবাসীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ১০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও কয়েকজন আদিবাসী জানান, আদিবাসী খাসিয়াদের গ্রাম ঝিমাই পানপুঞ্জি। পানপুঞ্জি ও ঝিমাই চা-বাগানের মধ্যে অনেক দিন ধরে ভূমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছে। ঝিমাই চা-বাগান কর্তৃপক্ষ চা-বাগান সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিলে আদিবাসী খাসিয়াদের মধ্যে উচ্ছেদ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় প্রশাসন বিরোধ নিরসনে একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু আদিবাসীরা তাঁদের জীবন-জীবিকা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব সংগতিপূর্ণ নয় বলে তা মেনে নিতে পারছেন না। পুঞ্জিতে ৭২টি আদিবাসী পরিবারের প্রায় ৫০০ লোক রয়েছে।
কুবরাজ আন্তপুঞ্জি সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলী তালাং বলেন, পুঞ্জিবাসীর সঙ্গে বৈঠকে বিভাগীয় কমিশনার পুঞ্জির প্রতি পরিবারকে দুই একর করে নিষ্কণ্টক ভূমি দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। কিন্তু দুই একর পাহাড়ি জমিতে পান চাষ করে জীবন-জীবিকা চালানো সম্ভব নয় বলে পুঞ্জিবাসীর পক্ষ থেকে পাঁচ একর করে ভূমি দাবি করা হয়েছে। বিষয়টির সমঝোতা না হওয়ায় পরে পুঞ্জিবাসী কিছুদিন সময় চেয়েছেন।
মৌলভীবাজারের ডিসি কামরুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি চিরতরে সমাধানের জন্যই বিভাগীয় কমিশনার সাহেব এসেছিলেন। আমরা ওদের (পুঞ্জিবাসীর) সঙ্গে সমঝোতার জন্য বসেছিলাম। দুই একর করে কাউকে দেওয়ার সরকারি আইন নেই। তাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতির দিকটি বিবেচনা করে মানবিক কারণে আমরা বলেছি দুই একর করে দেওয়ার বিষয়টি সরকারের কাছে প্রস্তাব করব। এখন তাদের সময় দিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে বলা হয়েছে।’
0 Comment "আদিবাসী ও চা–বাগানের বিরোধ নিরসনের উদ্যোগ"
Post a Comment