আদিবাসীদের টাকা এখন ইউএনওর পকেটে


আদিবাসীদের টাকা এখন ইউএনওর পকেটে


আদিবাসীদের জন্য সরকারী বরাদ্দকৃত টাকা এখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) সঠিকভাবে ব্যবহার না করে লুটপাট চালাচ্ছে। যে কারণে অর্থের অভাবে প্রাইমারীর পাশ করার পর আর লেখা পড়া করানো সম্ভব হচ্ছে না। আর এতোটুকু পড়াতে সহায়তা করছে ব্রাক। এছাড়াও সম্প্রতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের নের্তৃত্বদানকারী মধ্যম আয়ের কিছু মানুষের মধ্যে নোংরামি ঢুকে গেছে।

তারা অন্য গোষ্ঠির মত নিজ স্বার্থ হাসিল করা নিয়েই এখন ব্যস্ত। যে কারণে তাদের দাবী পূরণ হওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আদিবাসী হিসাবে স্বীকৃতি পেতে হলে তাদের নিজেদের মধ্যে চলমান এ সমস্যা দূর করে সু-সঙ্গঠিত হয়ে একযোগে জোরালো আন্দালন করতে হবে। শুধু তাই নয়, দাবীগুলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কান পযর্ন্ত পৌঁছাতে হবে। তাহলেই সফল হওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। শনিবার দুপুরে রাজশাহীর আশ্রয় গবেষনা ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘২০১৫ উত্তর এজেন্ডা: আদিবাসী জাতি সমূহের জীবন ধারা উন্নয়ন নিশ্চিত করণ’ বিষয়ক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন বক্তারা।

আশ্রয় ও ক্যাম্পেইন ফর হিউম্যান রাইটস’র আয়োজনে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পযর্ন্ত অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ব্লাস্ট রাজশাহী অঞ্চলের সমন্বয়কারী এ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ। আশ্রয়’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলামের সভপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক সোনার দেশ’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসস্তফা কামাল আকন্দ ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা অনিল মারান্ডি। আশ্রয়’র ডিজিএম আব্দুর রাজ্জাকের স্বাগত বক্তব্যে প্রধান আলোচক ছিলেন দিনাজপুর জজ কোর্টের আইনজীবি অধ্যাপক গণেশ সরেণ। অন্যান্যের মধ্যে রাজশাহী আদিবাসী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেণ, দিনাজপুর জেলার মহিলা সভাপতি ভারতী তির্কি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা আরো বলেন, অন্যান্য সমস্যা ছাড়াও এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে আদিবাসী হিসাবে স্বীকৃতি মিলছেনা। যে কারণে হস্তিপিষ্ট রাষ্ট্র চায়না, আমরা চাই গাধাসম রাষ্ট্র। যে রাষ্ট্র আমাদের ভার বহন করবে। আর বর্তমানে সারাদেশের ন্যয় রাজশাহী অঞ্চলেও আদিবাসীদের উপর জুলুম, নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন ও বাড়ি ঘরে হামলা করে লুটপাটের মত ঘটনা ঘটে চলেছে। যার ধারাবাহিকতায় গোদাগাড়ীতে নরেণ সর্দারের বাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট চালিয়েছে ভুমিদস্যু নূরুল আমীন আওয়াল। শুধু তাই নয়, স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজসে একেরপর এক মিথ্যা মামলা দিয়েই চলেছে ভুমিদস্যু আওয়াল। বর্তমানে মামলা আতঙ্কে রয়েছে ওই এলাকার আদিবাসীরা। ফলে সকল ভেদাভেদ ভুলে একত্রিত হয়ে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোরও আহবান জানান আদিবাসী নেতারা।

0 Comment "আদিবাসীদের টাকা এখন ইউএনওর পকেটে "

Post a Comment