বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা
নিতে এসে এক আদিবাসী স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় হাসপাতাল
কর্মচারী নুর মোহাম্মদকে আটক করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর চাচা অজহা ত্রিপুরা জানান, সোমবার ভাতিজির
সঙ্গে তার মায়ের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে মা মেয়ের গায়ে হাত তুললে তার ভাতিজি
আহত হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পরের দিন (১৮ আগস্ট) লামা
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এসময় তার ভাতিজি একা ওষুধ কিনতে
যাওয়ার পথে হাসপাতালের কর্মচারী নুর মোহাম্মদ, বখাটে সেলিম ও শাহ আলম তাকে
ধর্ষণ করে।
অভিযুক্ত সেলিম তার অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
ওই ছাত্রীর পাশের বেডে ছিল। ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে বুধবার সন্ধ্যায় লামা
থেকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
বুধবার দুপুরে ছাত্রীর আত্মীয় উলিয়াম ত্রিপুরা বাদী হয়ে লামা থানায় নুর
মোহাম্মদ, সেলিম ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা
দায়েরের পর পুলিশ হাসপাতাল কর্মচারী নুর মোহাম্মদকে আটক করে।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা
স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় নুর মোহাম্মদকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের
চেষ্টা চলছে।
0 Comment "চিকিৎসা নিতে এসে আদিবাসী ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার"
Post a Comment