আদিবাসী ও কৃষকদের পৈতৃক জমি ফেরতের দাবি

আদিবাসী ও কৃষকদের পৈতৃক জমি ফেরতের দাবি

আদিবাসী ও কৃষকদের পৈতৃক জমি ফেরতের দাবি ভূমিহারা ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসী ও কৃষকদের পৈতৃক জমি ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার  সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, গাইবান্ধা জেলা শাখা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সহ-সভাপতি ফিলিমন বাস্কে তিন দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হচ্ছে- গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত রামপুরা, সাপমারা, মাদারপুর, নারাংগাবাদ ও চকরাহিমপুর মৌজার ১৮৪২.৩০ একর সম্পত্তি রংপুর (মহিমাগঞ্জ) সুগার মিলস লিমিটেড কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে উদ্ধার করে যথাযথ মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া, অবিলম্বে তাদের বাপ-দাদার ভিটেমাটিতে পুনর্বাসন, মহিমাগঞ্জ সুগার মিলস কর্তৃপক্ষের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু ও দালালদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের রক্ষা করা।     

সংবাদ সম্মেলনে বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, পাকিস্তান সরকার চিনিকল প্রতিষ্ঠার জন্যে ওই ১৮৪২.৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করেন। তবে শর্ত ছিল যে, যদি এখানে আখ চাষ না হয়, তাহলে যাদের জমি তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার যেন একটি কমিটি গঠন করে এই অবিচারের সুরাহা করে। প্রয়োজনে সরকারি প্রতিনিধি, প্রশাসন, নাগরিক প্রতিনিধি ও ভূমির স্থায়ী মালিকদের সমন্বয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জনগণ যদি চুক্তি ভঙ্গ করে তাহলে আইন-আদালত আছে।কিন্তু রাষ্ট্র চুক্তি করে তা কোনোভাবে ভঙ্গ করতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য বিমল বিশ্বাস, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন প্রমুখ।

0 Comment "আদিবাসী ও কৃষকদের পৈতৃক জমি ফেরতের দাবি"

Post a Comment