রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় আদিবাসী এক
গৃহবধূকে (২২) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ গ্রাম্য সালিশে আপোষ করেছেন স্থানীয়
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। রকি (২৫) নামে অভিযুক্ত ওই যুবককে
গ্রাম্য সালিশে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত শনিবার দুপুরের ওই
ঘটনায় সোমবার সকালে এর ‘বিচার’ করেছেন চেয়ারম্যান।
অভিযুক্ত যুবক উপজেলার মাধাইপুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে। গত শনিবার সে পার্শ্ববর্তী নবগ্রাম টিকটিকিপাড়া গ্রামের এক আদিবাসী গৃহবধূকে ধষর্ণের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ। এ গ্রামের দুলাল উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে রকি কয়েক বছর ধরে কাজ করতো। দুলাল উদ্দীন গোদাগাড়ী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসিদুল গণির চাচাতো ভাই।
স্থানীয়রা জানায়, নবগ্রাম টিকটিকিপাড়ার আদিবাসী ওই গৃহবধ শনিবার দুপুরে তার বাড়িতে কাজ করছিলেন। তখন যুবক রকি ওই গৃহবধূর স্বামীর খোঁজে তার বাড়িতে যায়। এসময় তার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে রকি ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় ওই গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা লম্পট রকিকে হাতেনাতে আটক করেন। খবর পেয়ে দুলাল উদ্দীন তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা আরো জানান, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী থানায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান তাকে মামলা করা থেকে বিরত রাখেন। পরে সোমবার সকালে নবগ্রাম এলাকার জনৈক বজলুর রহমানের চাতালে কথিত সালিশে এর আপোষ করা হয়। সেই সালিশে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসিদুল গণি নিজে উপস্থিত ছিলেন। তার সভাপতিত্বেই ওই সালিশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়াও চেয়ারম্যানের ভাই রেন্টু মিয়া, স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও গ্রাম্য মাতব্বর ফজলুর রহমানসহ আরো কয়েকজন সালিশে উপস্থিত ছিলেন। সালিশে অভিযুক্ত যুবককে তারা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে তাকে কয়েক ঘা বেত্রাঘাত করা হয়।
সোমবার সকালে নবগ্রাম টুকটুকিপাড়া গ্রামে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গেলে তিনি জানান, সালিশে রকিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে সে টাকাও তিনি পাননি। গৃহবধূর মা বলেন, ‘এই গ্রামেই চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বাড়ি। তাই তাদের কথায় তাদের ওপরই ভরসা রেখেছিলাম। তারা এর ‘বিচার’ করেছেন।’ আগামীতে এমন ঘটনা ঘটলে রকিকে ‘উপযুক্ত শিক্ষা’ দেওয়া হবে বলেও তারা জানিয়েছেন।
কথা বলতে এ সময় দুলাল উদ্দীনকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ওই বাড়িতে অভিযুক্ত যুবক রকিও ছিলনা। তাই এ ব্যাপারে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, জরিমানার টাকা রকি মঙ্গলবার পরিশোধ করবে বলে কথা হয়েছে। নারীঘটিত বিচার গ্রাম্য সালিশে করার এখতিয়ার আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি সদস্য বলেন, ‘এখতিয়ার নেই, তবে এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সবাই মিলেই তা করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মাসিদুল গণি মুঠোফোনে বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। গৃহবধূর অভিযোগ মিথ্যা।’ সালিশে আপনি ছিলেন কি নাÑজানতে চাইলে চেয়ারম্যান দাবি করেন, সালিশে তিনি ছিলেন না।
তবে সরেজমিনে গেলে আদিবাসী গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত রকি চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে কাজ করতো। এ জন্য তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানাতে দেননি। পরে তিনি নিজে উপস্থিত থেকেই এর আপোষ করেছেন। গৃহবধূর অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রচার করে তিনি বিষয়টির ধামাচাপা দেওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন।
জানতে চাইলে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের কোনো ঘটনা
গ্রাম্য সালিশে আপোষ করার বিধান নেই। ওই ঘটনা তাকে কেউ জানায়নি। জানালে
তিনি ওই যুবককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতেন। এখন খোঁজ-খবর নিয়ে এ ঘটনায়
ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অভিযুক্ত যুবক উপজেলার মাধাইপুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে। গত শনিবার সে পার্শ্ববর্তী নবগ্রাম টিকটিকিপাড়া গ্রামের এক আদিবাসী গৃহবধূকে ধষর্ণের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ। এ গ্রামের দুলাল উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে রকি কয়েক বছর ধরে কাজ করতো। দুলাল উদ্দীন গোদাগাড়ী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসিদুল গণির চাচাতো ভাই।
স্থানীয়রা জানায়, নবগ্রাম টিকটিকিপাড়ার আদিবাসী ওই গৃহবধ শনিবার দুপুরে তার বাড়িতে কাজ করছিলেন। তখন যুবক রকি ওই গৃহবধূর স্বামীর খোঁজে তার বাড়িতে যায়। এসময় তার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে রকি ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় ওই গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা লম্পট রকিকে হাতেনাতে আটক করেন। খবর পেয়ে দুলাল উদ্দীন তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা আরো জানান, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী থানায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান তাকে মামলা করা থেকে বিরত রাখেন। পরে সোমবার সকালে নবগ্রাম এলাকার জনৈক বজলুর রহমানের চাতালে কথিত সালিশে এর আপোষ করা হয়। সেই সালিশে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসিদুল গণি নিজে উপস্থিত ছিলেন। তার সভাপতিত্বেই ওই সালিশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়াও চেয়ারম্যানের ভাই রেন্টু মিয়া, স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও গ্রাম্য মাতব্বর ফজলুর রহমানসহ আরো কয়েকজন সালিশে উপস্থিত ছিলেন। সালিশে অভিযুক্ত যুবককে তারা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে তাকে কয়েক ঘা বেত্রাঘাত করা হয়।
সোমবার সকালে নবগ্রাম টুকটুকিপাড়া গ্রামে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গেলে তিনি জানান, সালিশে রকিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে সে টাকাও তিনি পাননি। গৃহবধূর মা বলেন, ‘এই গ্রামেই চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বাড়ি। তাই তাদের কথায় তাদের ওপরই ভরসা রেখেছিলাম। তারা এর ‘বিচার’ করেছেন।’ আগামীতে এমন ঘটনা ঘটলে রকিকে ‘উপযুক্ত শিক্ষা’ দেওয়া হবে বলেও তারা জানিয়েছেন।
কথা বলতে এ সময় দুলাল উদ্দীনকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ওই বাড়িতে অভিযুক্ত যুবক রকিও ছিলনা। তাই এ ব্যাপারে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, জরিমানার টাকা রকি মঙ্গলবার পরিশোধ করবে বলে কথা হয়েছে। নারীঘটিত বিচার গ্রাম্য সালিশে করার এখতিয়ার আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি সদস্য বলেন, ‘এখতিয়ার নেই, তবে এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সবাই মিলেই তা করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মাসিদুল গণি মুঠোফোনে বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। গৃহবধূর অভিযোগ মিথ্যা।’ সালিশে আপনি ছিলেন কি নাÑজানতে চাইলে চেয়ারম্যান দাবি করেন, সালিশে তিনি ছিলেন না।
তবে সরেজমিনে গেলে আদিবাসী গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত রকি চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে কাজ করতো। এ জন্য তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানাতে দেননি। পরে তিনি নিজে উপস্থিত থেকেই এর আপোষ করেছেন। গৃহবধূর অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রচার করে তিনি বিষয়টির ধামাচাপা দেওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন।
0 Comment "আদিবাসী গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ গ্রাম্য সালিশে আপোষ করলেন চেয়ারম্যান"
Post a Comment